Social Icons

Monday 26 December 2016

রূপচর্চায় চা–পাতা


শীতের দিন এক কাপ চা। মন সতেজ করতে আর কী লাগে? মন ভালো করার পাশাপাশি ত্বকও কিন্তু সতেজ সুন্দর রাখা যাবে চা-পাতা দিয়েই। মৌসুম বদলের সময়টায় চুল, ত্বকের যত্নে চা পাতার সঙ্গে বাড়তি উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন নানা রকম প্যাক। তেমনই ঘরোয়া কিছু উপায় বাতলে দিলেন আয়ুর্বেদিক রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
ঘরে তৈরি প্যাকব্রণের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, গ্রিন টির পানি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তুলা দিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন। শীতের রোদে অনেক সময়ই ত্বকে কালো ছোপ পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ১ চা-চামচ গ্রিন টি পাতা, ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া এবং গোলাপ জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। মুখে ও হাতে-পায়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুলে কালচে দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে। গ্রিন টির পানি ও গোলাপ জল মিশিয়ে ঘুমানোর আগে মুখে তুলা দিয়ে লাগিয়ে ভালো মানের ক্রিম লাগালে ত্বক কোমল থাকবে। বডি স্ক্রাবের জন্য গ্রিন টির পানি আধা কাপ, মধু, লেবুর রস ও টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে হাতে-পায়ে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। একটু পর হালকা গরম পানি দিয়ে মালিশ করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
.অনেক সময়ই ঘুম থেকে ওঠার পর চোখে ফোলা ফোলা ভাব থাকে। ২টি কালো চায়ের টি-ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ রেখে চোখের ওপর দিলে ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যাবে। ১ কাপ গ্রিন টির পানি, ১টি লেবুর খোসা, ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ নারকেল তেল একটি পাত্রে গরম করে জ্বাল দিয়ে দিন। তেলটি ঠান্ডা করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিলে খুশকি কমে যাবে। এটি মাসে ৩ থেকে ৪ বার করতে পারলে ফলাফল ভালো আসবে। বাজারে যেসব কন্ডিশনার পাওয়া যায় সেগুলোর পরিবর্তে চা পাতা দিয়েই ভালো মানের কন্ডিশনার তৈরি করে ফেলা যায়। ২ কাপ গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ কালো চা দিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে শ্যাম্পু করার পর চুলে লাগালে কন্ডিশনারের কাজ করবে।
এ ছাড়া বাজারে টি ট্রি অয়েলের ফেসওয়াশ পাওয়া যায়, যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত অথবা সংবেদনশীল, তাঁরা ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। শুধু রূপচর্চাই নয়, কালো চা এবং গ্রিন টি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। গ্রিন টিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, তাই প্রতিদিন ২-৩ কাপ চা খেলে মেদ কমতে সাহায্য করবে। এই শীতে কালো চায়ের সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে আরাম পাবেন।

ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?

বিপাশা রায় | আপডেট: 
Like
      


শীতের সময় প্রাকৃতিক কারণেই ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক ৷ যে কারণে ত্বকের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের৷ আলিস্যি বা ব্যস্ততা, যা-ই থাকুক না কেন, সময় বের করুন। শীতে নিয়মিত যত্ন না নিলে পরবর্তী সময়ে বারোটা বেজে যাবে আপনার ত্বকের! সৌন্দর্য সেবাকেন্দ্র বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভের রূপবিশেষজ্ঞ শারমীন কচি জানালেন, ঘরে থাকা জিনিস দিয়ে রূপচর্চা করেই ত্বকে আনতে পারেন লাবণ্য৷ এ জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় রাখতে হবে ত্বকের জন্যই৷

১. ছোট একটা বাটিতে ১ চা-চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ৩ চা-চামচ পানির সঙ্গে হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন৷ প্রতিদিন রাতে হাত, পা ও মুখের ত্বকে লাগিয়ে ঘুমোতে যান৷ শীতকালজুড়েই এটি ব্যবহার করতে পারেন৷ এই মিশ্রণ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে৷

২. গোসলের আগে এক চা-চামচ মধু একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মুখে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন৷ এরপর ১০ মিনিট সময় নিয়ে আঙুল দিয়ে ঘষে ঘষে এই প্যাক মুখে ম্যাসাজ করুন৷ ত্বক দ্রুত সতেজ করতে এই প্যাক বেশ কাজে দেয়৷ এ ছাড়া ডিমের সাদা অংশ ত্বকের পোড়া ভাব দূর করে৷ সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক ব্যবহার করুন৷

৩. শীতে ত্বকের ডিপ ক্লিনজিং বেশ জরুরি৷ এ জন্য ২ চা-চামচ টকদইয়ের সঙ্গে ১ চা-চামচ পানি মিশিয়ে তুলা দিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে নিন৷ সঙ্গে ১ কাপ সুজি টেলে নিন৷ এবার টেলে নেওয়া সুজির সঙ্গে পানি মিশিয়ে পুরো ত্বকে হালকা করে ঘষতে থাকুন৷ সুজি ত্বকের ভেতর থাকা ময়লা বের করে আনে৷ এরপর ত্বকে আর্দ্রতা আনতে পাকা পেঁপের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করে তা ত্বকে লাগিয়ে রাখুন৷

৪. এই প্যাকগুলো ব্যবহার করার পর মুখে র‍্যাশ উঠলে ডাবের পানি ব্যবহার করুন। এ ছাড়া এ সময় বাইরে বেরোলে যতটা সম্ভব ধুলোবালু এড়িয়ে চলুন।


ত্বকে কালচে ছাপ, কনুই হাঁটু খসখসে?

অলকানন্দা রায় | আপডেট:  | প্রিন্ট সংস্করণ

শীতের সময় দরকার ত্বকের বাড়তি যত্ন। ছবি: নকশাকারও কারও মুখের ত্বকে পড়তে শুরু করেছে কালচে ছোপ ছোপ দাগ। কালো দাগ যেন জাঁকিয়ে বসেছে হাতের কনুই আর হাঁটুতে। ফাটতে শুরু করেছে পায়ের গোড়ালি। আবহাওয়া পরিবর্তনের ছোঁয়া সব সময়ই শরীর মনে ছাপ ফেলে। আর শীতের নাচুনে ছোঁয়ার ছাপ যেন একটু বেশিই পড়ে ত্বকে। সংগত কারণেই এসব সমস্যা দূর করতে হলে শীতের সময় চাই একটু বাড়তি যত্ন। ত্বকের কালচে দাগ বড়ই বেমানান লাগবে।
তাহলে উপায়? কালো হাঁটু ও কনুইয়ের সমস্যা সমাধানের পথ বাতলে দিলেন হেয়ারোবিক্স ব্রাইডালের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন। তিনি জানালেন, একটু যত্ন নিলেই শীতে খসখসে ত্বক ও কালো হাঁটু আর কনুইকে রাখা যাবে সুন্দর ও দাগহীন। তাঁর পরামর্শ—
 কনুইয়ে কালো দাগ দেখা দিলে চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
 হাঁটুর কালো দাগ দূর করতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলের একটি মিশ্রণ তৈরি করে হাঁটুতে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
 টকদই, মসুর ডাল, লেবুর রস, চালের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি দিয়ে কনুই ও হাঁটুতে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলে ময়েশ্চরাইজার লাগাতে হবে। এতে করে কালো দাগ কমে আসবে এবং হাঁটু, কনুইয়ের ত্বক বেশ উজ্জ্বল দেখাবে।
এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, হাঁটু, কনুইয়ের দাগ মূলত তৈরি হয় ঘষা লাগার কারণে। তাই যতটা সম্ভব কনুই ঠেঁকিয়ে, হাঁটু গেড়ে না বসাই ভালো। কনুইয়ের যত্নে বড় হাতার জামা পরা যেতে পারে।
কালচে ত্বক ও পায়ের ফাটা গোড়ালি নিয়ে পরামর্শ দিলেন হারমনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। তিনি বলেন, সারা দিন হাঁটাহাঁটি এবং পায়ে দীর্ঘ সময় ধরে লেগে থাকা ধুলা-ময়লা পায়ের গোড়ালি ফাটার অন্যতম কারণ। পা ফাটা রোধে এবং পায়ের ত্বকে মসৃণ উজ্জ্বলতা দিতে তিনি দিলেন কিছু ঘরোয়া প্যাকের পরামর্শ।
 রাতে শোওয়ার আগে ১ চামচ লবণ, ১ চামচ শ্যাম্পু ও ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে কুসুমগরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। কিছু সময় পর পা তুলে নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে গোড়ালির মরা চামড়া তুলে ফেলার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। পা ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে।
 ২ চামচ চালের গুঁড়া, ১ চামচ কমলার খোসা বাটা, ১ চামচ হলুদ ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে পায়ে লাগানোর ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
 লেবুর রস ৪ চা-চামচ, মধু ১ চা-চামচ ও জলপাই তেল ১ চা-চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করতে হবে ভালোভাবে।
ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে
 তৈলাক্ত ত্বকে: লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, গ্লিসারিন ১ চা-চামচ ও গোলাপজল ৩ টেবিল চামচ একত্রে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
 শুষ্ক ত্বকে: ডিম ১টি, মধু ২ চা-চামচ, গুঁড়া দুধ ১ চা-চামচ, কাঁচা হলুদ ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস আধা চা-চামচ একত্রে পেস্ট করে ত্বকে লাগানোর ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
 সাধারণ ত্বকে: শসা কুচি ২ টেবিল চামচ, গোলাপজল ৬ টেবিল চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, গ্লিসারিন ২ টেবিল চামচ ও মধু ১ টেবিল চামচ একত্রে ব্লেন্ড করে ত্বকে লাগানোর ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
টিপস
 পা ঘষার ব্রাশটি যেন নরম হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্রাশ দিয়ে পা ঘষলে মরা চামড়া, শক্ত হয়ে বসে যাওয়া ময়লা উঠে আসবে এবং পায়ের ত্বকে রক্ত চলাচল সচল রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেবে।
 গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে লাগালেও পা ফাটার সমস্যা রোধ করা সম্ভব।
 ত্বকের কালচে ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে ত্বক নিয়ম করে প্রতিদিন ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।

No comments:

Post a Comment

 

Sample text

Sample Text

Sample Text

 
Blogger Templates